ঢাকা,রোববার, ৫ মে ২০২৪

মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে ৪ জেলে গুলিবিদ্ধ : ৮ঘন্টা পর ১০ জেলেকে উদ্ধার করল কোস্টগার্ড

comও পরে গুলি এ পারে উদ্ধার……………………….

গিয়াস উদ্দিন ভুলু , টেকনাফ  ::

বাংলাদেশের মাছ ধরা ফিশিং ট্রলার লক্ষ্য করে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর গুলিবর্ষণে ৪ জেলে গুলিবিদ্ধ ।সেন্টমাটিনের স্থানীয় জেলেদের সুত্রে জানা যায়, গতকাল ২৭ ডিসেম্বর সকাল ৬টার দিকে সেন্টমার্টিনের পুর্ব-দক্ষিণে ছেড়াদ্বীপ সংলগ্ন বাংলাদেশ জলসীমায় বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকার করা অবস্থায় বাংলাদেশী ট্রলারকে লক্ষ্য করে মিয়ানমার নৌবাহিনীর অতর্কিত গুলিবর্ষনের শব্দ শুনা যায়। এতে বঙ্গোপসাগরে অন্যন্যা ফিশিং ট্রলার গুলোর জেলেদের মাঝে আতংক  ছড়িয়ে পড়ে। অনেক জেলে মাছ ধরা বন্ধ করে নিজের প্রাণ বাচাঁতে চলে আসে আড়ালে। তার পর সকাল ৮ টার দিকে সাগর থেকে পালিয়ে আসা স্টেমাটিন উপকুলের ট্রলারের মাঝি ও জেলেদের  কাছে জানতে পারি। গত ৬ দিন আগে কক্সবাজারের এফবি খালেদা-১ নামে একটি ফিশিং ট্রলারকে লক্ষ্য করে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর সদস্যরা গুলি চালিয়েছে। এবং উক্ত ফিশিং ট্রলারের জেলেদেরকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমার নৌবাহিনী।

সেন্টমাটিন কোস্টগার্ড পেটি অফিসার সাইফুল আফছার জানান, উক্ত ঘটনাটি  সকাল ৮টার সময় সংঘঠিত হলেও আমরা খবর পায় বিকাল ৪টার দিকে। খবর পাওয়ার সাথে সাথে আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থল পরির্দশনে যায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারি বঙ্গোপসাগরে কক্সবাজারের এফবি খালেদা-১ নামে একটি ফিশিং ট্রলারকে মাছ ধরা অবস্থায় মিয়ানমার নৌবাহিনীর সদস্যরা গুলি চালিয়েছে। এবং উক্ত ফিশিং ট্রলার থেকে ১০ জন মাঝিমাল্লাকে ধরে নিয়ে গেছে। তার পর আমরা মিয়ানমার নৌবাহিনীর কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে ট্রলারের মাঝি রংপুর এলাকার আবদুর রাজ্জাকসহ সবাইকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। তবে এদের মধ্যে ৪ জন জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। গুলিবিদ্ধরা জেলেরা হল কক্সবাজার মহেশখালীর ওসমান, কক্সবাজার সদর নুন্নাছড়া এলাকার রফিকুল ইসলাম, নুর আহমদ, সাইফুল ইসলাম। তাদেরকে সেন্টমার্টিন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য টেকনাফ সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।

এব্যাপারে বিভিন্ন সুত্রে খবর নিয়ে আরো জানা যায়, উক্ত ট্রলারটি মাছ ধরার পাশাপাশি অবৈধ মাদক পাচার কাজে জড়িত ছিল। তাই মিয়ানমার নৌবাহিনীর সদস্যরা হয়ত সন্দহজনক উক্ত ট্রলারকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষন করার পরে তাদের ভুল বুঝতে পেরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদেরকে আটক করার পর আবার সেন্টমাটিন কোস্টগার্ড সদস্যদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে হস্তান্তর করে। কাছে

অপরদিকে রাত ৮ টায় গুলিবিদ্ধ ৪ জেলেকে টেকনাফ সদর বিওপির বিজিবি সদস্যরা টেকনাফ পৌরসভার খাইয়ুকখালী ঘাট থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে বিজিবি সদস্যদের সহযোগীতায় একটি নোহা যোগে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। ট্রলারের মাঝি আবদুর রাজ্জাকের সাথে কথা বলে জানা যায়, বঙ্গোপসাগরে গত ৬ দিন ধরে মাছ ধরার পর গতকাল নিজের গন্তব্যস্থলে দিকে আসার পথে অতর্কিতভাবে মিয়ানমার নৌবাহিনীর সদস্যরা আমাদের উপর গুলিবর্ষন করে। এতে আমাদের ৪ জন জেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ট্রলারে পড়ে থাকে। তার পর আমাদের ট্রলারে এসে নৌবাহিনীর সদস্যরা প্রায় ৫ লক্ষ টাকার মাছ লুটে নিয়ে যায়। এবং ট্রলারে থাকা আমাদের ব্যবহারের নিত্য প্রযোজনীয় ও মুল্যবান জিনিস পত্র লুটে নিয়ে যায়। তার পাশাপাশি বাকি জেলেদেরকেও বিশন মারধর করে । এর পর বিকাল ৪ টা দিকে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড সেন্টমাটিন এলাকার সদস্যরা আমাদেরকে উদ্ধার করে।

পাঠকের মতামত: